আজ জাতির জীবনে এক বেদনাবহ দিন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ঘটেছিল এক মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে লিপ্ত হয়েছিল ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে। স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতি যেন মেধায়-মননে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে ওঠে।
বিজয় উৎসবের আগে এই দিনটিতে জাতি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করে আসছে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। মিরপুর ও রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বরাবরের মতোই আজ রোববারও সকাল থেকে নামবে অগণিত মানুষের ঢল। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা, সর্বস্তরের মানুষ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন, বিশেষত নতুন প্রজন্মের বাঙালিরা গভীর শ্রদ্ধা ও বিনয়ে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবে স্মৃতিসৌধের বেদিতে। একই সঙ্গে বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, সেই রাজাকার-আলবদরদের বিচার ও সাজা কার্যকর করার দাবিও জানানো হবে।
বাণী: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তাঁরা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেছেন।
কর্মসূচি: বাসস জানায়, সকাল আটটা পাঁচ মিনিটে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সর্বস্তরের জনসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে সকাল নয়টায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।